পুলিশ নেই, জয়পুরহাট থানা পাহারা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

জয়পুরহাট সদর থানার প্রধান ফটক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় গুলিতে মেহেদী নামের একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে থানায় অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছেন।

সোমবার রাতে এসব ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। ছাত্ররা থানা পাহারা দিচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার এসপির কার্যালয়ে কোনো পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।  

এর আগে সোমবার বিকেলে জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের শহরের শান্তিনগর বাসায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আবু সাঈদের বাসা থেকে জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সোমবার বিকেলে এসপি কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন নেতার বাসায় হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট পৌরসভায় হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে ছাত্রদল নেতা আদনান তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান। আজ শহরের কোথাও পুলিশ দেখা যায়নি। তবে সেনাবাহিনীকে শহরে টহল দিতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট সদর থানায় দেখা গেছে, থানার পূর্ব দিকের প্রাচীর ভাঙা রয়েছে। থানায় মূল ফটক ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। থানার চত্বরে ভেতরের ফটকে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী পাহারা দিচ্ছিলেন। উৎসুক লোকজন ভাঙা প্রাচীর সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেননি।

থানার সামনের কয়েকজন দোকানি বলেন, সোমবার রাতে লোকজন থানায় হামলা করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ছাদে উঠে জোর করে হামলাকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় এসে ভাঙা প্রাচীর দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বাইরে নিয়ে গেছেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শহরের নতুন হাট মহল্লার   মেহেদী নামের এক যুবকের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।

উত্তেজিত জনতা থানার ভেতর ঢুকে আগুন দিয়েছেন। এরপর থেকে থানা অরক্ষিত ছিল। আজ মঙ্গলবার ১০টার পর শিক্ষার্থীরা এসে থানা পাহারা দিচ্ছেন।
জেলা সদর ছাড়া অন্য চারটি উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সোমবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।