রাজবাড়ীতে রায় ঘোষণার সময় এজলাস থেকে পালালেন আসামি

আদালত
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীতে অস্ত্র মামলায় আলম মণ্ডল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় পৃথক একটি ধারায় তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন।

আসামি আলম মণ্ডল আদালতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও রায় ঘোষণার আগে আগে আদালতের এজলাস থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাঁর অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আলম মণ্ডল জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের পালের ডাঙ্গী গ্রামের রমজান আলী মণ্ডলের ছেলে।

মামলার আইনজীবী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পাংশা মডেল থানা-পুলিশের দল মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানে ছিল। ওই দিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরিষা ইউনিয়নের পালের ডাঙ্গী গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রামের ইউনুসের চায়ের দোকানের সামনে পুলিশ দেখে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া করে আলম মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছে একটি দেশি তৈরি ওয়ান শুটারগান ও দুটি কার্তুজ পাওয়া যায়। ওই দিন পাংশা মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মাসুদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলম মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে আসামি আলম মণ্ডলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ১৯ (এ) এবং ১৯ (এফ) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ তাঁকে ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও রাজবাড়ী আদালতের পিপি উজির আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি আলম মণ্ডল গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ রায়ের ধার্য তারিখ ছিল। রায় ঘোষণার আগে সকালে আসামি হাজিরা দাখিলে স্বাক্ষর করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কাঠগড়ায় ডাকা হলে তিনি হাজির হননি। তার আগেই তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। পরে বিজ্ঞ আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে আলম মণ্ডলকে একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য আরেক ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।