এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে নিহত সাতজনের পরিচয় মিলেছে, চারজন একই পরিবারের
ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হওয়া সাতজনের লাশের পরিচয় মিলেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজার স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তাঁদের মেয়ে বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও আফসা (১) এবং সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)। বিউটির স্বামী মাহমুদ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের সার্জেন্ট পদে কর্মরত।
এদিকে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন, সেখানে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এলে তাঁদের হাতে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভাড়া নিয়ে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় এসেছিলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক মৃদুল মালো। আজ ফেরার সময় ঢাকার কদমতলী থেকে তিনি ওই যাত্রীদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলেছিলেন। এরপর রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে যাত্রীদের নিয়ে বোয়ালমারী ফিরছিলেন।
চালক মৃদুল মালো এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে আকাবাকাভাবে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সেটি এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক বিভাজকের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তবে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই নাকি পেছন থেকে অন্য কোনো গাড়ির ধাক্কায় রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।