নরসিংদীতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

নরসিংদীতে সিমেন্টবাহী কাভার্ড ভ্যান ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার দগরিয়ায়ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীতে সিমেন্টবাহী কাভার্ড ভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন পরিবারের চার নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ওই মাইক্রোবাসের চালক ও পরিবারগুলোর আরও তিনজন সদস্য। শনিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার দগরিয়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চারজন হলেন রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৩৫),আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাজিদ (১২), এমরান মিয়ার স্ত্রী তানজিনা আক্তার (২৪) ও সাদ্দাম মিয়ার মেয়ে ছাবিহা (১৪)।

দুর্ঘটনায় আহত চারজন হলেন ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৫), আতাউর রহমানের ছেলে এমরান রহমান (২৮), মুজিবুর রহমানের মেয়ে মিতু আক্তার (১৭) ও সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী লিপি আক্তার (২৮)।

একাধিক আহত ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে রায়পুরার চরসুবুদ্দি থেকে তিন পরিবারের সাত সদস্য রাজধানী ঢাকায় গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে রাতে তাঁরা বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই মাইক্রোবাস নরসিংদীর দগরিয়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিমেন্টবাহী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মাইক্রোবাসের চালকসহ আটজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাইক্রোবাস কেটে আটজনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মৃত ঘোষণার পাশাপাশি গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘চারজনকে মৃত অবস্থায় এবং চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। নিহত ব্যক্তিদের লাশ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

জানতে চাইলে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান বলেন, ‘চালকসহ আটজনকেই আমরা জীবিত উদ্ধার করেছিলাম। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চারজন নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’