খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিন ও বিভাগের কার্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার সমিতির এক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল সোমবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে—এই কারণ দেখিয়ে গত বছরের ৩ আগস্ট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। ইতিমধ্যে তাঁরা মানববন্ধন ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালন করেছেন। এবার ডিন ও বিভাগের কার্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলম বলেন, ‘পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি ও হতাশায় ভুগছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এ সমস্যা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’
এদিকে এ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ প্রভাষকের পদোন্নতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আসলে কয়েকজন ব্যক্তি এ জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ শিক্ষকের পদোন্নতি হচ্ছে না এ জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এ সমস্যাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।’
শিক্ষকেরা বলেন, তাঁরা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন করতে চান না। এ কারণে তাঁরা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সমস্যা নিরসনের জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ করছেন না, যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান ও শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিলে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না। এ পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।