সৈয়দপুরে জেঁকে বসেছে শীত, গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে, ফ্লাইটে বিঘ্ন
নতুন বছরের প্রথম দিনে শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ উত্তরের জনপদে। রাত থেকে টিপটপ করে পড়া কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ। সেই সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশার কারণে আজ বুধবার সকালে সৈয়দপুরে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলে ঘটছে বিঘ্ন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় আজ সকালের ফ্লাইটগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। দুপুরের পর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে ধারণা করছেন।
আজ সকালে সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সকাল ছয়টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিমান চলাচলের জন্য দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হলেও সেখানে আছে মাত্র ২০০ মিটার। দুপুরের আগে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে শীত ও কুয়াশার কারণে শ্রমজীবী গ্রামের নিম্নআয়ের লোকজন বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা কাবু হয়েছেন বেশি। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত উষ্ণতা অনুভব করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় রিকশাচালক জাফর আলী (৫৫) বলেন, ‘ঠান্ডাত মরি যাইছি ব্যাহে। হামার পেকে কাহো দেখে না। যে ঠান্ডা পইরছে, তাতে রিকশা চালাও কঠিন। হাত-পাও অবশ হয়া যায়ছে। পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর নাই, হামার খবরও কায়ো, নেয় ছে না বাবা।’
সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াসিমুল বারী জয় বলেন, তীব্র শীত ও কুয়াশায় শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্দি, কাশি, জ্বরসহ শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন।