সাভারে নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৭

ঢাকা জেলার মানচিত্র

ঢাকার অদূরে সাভারে নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভার কাতলাপুর এলাকার এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন—সাগর, পান্না, সাব্বির, জাহিদ, হৃদয়, লাদেন, সম্পদ। এর মধ্যে সাগর ও সম্পদের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। পান্নার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে সাভারের কাতলাপুরে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল হালিমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তিনিসহ বেশ কয়েকজন বসে ছিলেন। আবদুল হালিম নির্বাচনের সময় ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদের পক্ষে কাজ করেছেন। নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে পূর্বের একটি বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে দুই পক্ষের বৈঠকের কথা ছিল। সেখানে নৌকার ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক পৌঁছালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নৌকার সমর্থক সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, ভোটের ফলাফলে ঈগলের প্রার্থী তাঁদের কেন্দ্রে কিছু ভোট বেশি পান। পরে তাঁরা নৌকার সমর্থকদের মারধর করেন। ওই ঘটনায় রাতে মিমাংসার জন্য বসার কথা ছিল। আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসার জন্য তাঁরা ৮ থেকে ১০ জনসহ আবদুল হালিমের ওইখানে গেলে তাঁর ছেলে রবিউল আওয়াল তাঁদের মারধর করেন।

তবে আবদুল হালিম গতকাল রাতে বলেন, নৌকার সমর্থক ২০ থেকে ২৫ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের একপাশে বসে থাকা তাঁর ছেলের ওপর চড়াও হন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় রাতে আবদুল হালিমকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। দুইপক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।