কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পাঁচজনকে দণ্ড

কারাগার
প্রতীকী ছবি

নাটোরে বড়াইগ্রামে অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে পাঁচ যুবককে ১০ বছর আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার সময় আসামিরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইনে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মো. মাহবুলের ছেলে মো. পল্লব, আবদুর রহিমের ছেলে সাইদুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের অম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ওরফে রকিব, মিজাউলের ছেলে মো. টুটুল ও চান্দাই গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. শোভন।

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এত দিন জামিনে মুক্ত ছিলেন। রায়ের সময় তাঁরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিচারক রায়ে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১০ বছর আটকাদেশ দেওয়ার পর সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনাল–সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার সময় আসামিদের বয়স ১৭ বছরের কম হওয়ায় তাঁদের শিশু আইনে সাজা দেওয়া হয়েছে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, অপরাধটি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য হলেও কাগজপত্র অনুসারে ঘটনার সময় আসামিরা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। শিশু আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর আটকাদেশ। আদালত এই সাজাই দিয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বড়াইগ্রামের এক কিশোরী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আসামিরা কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ওই কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে মাফলার দিয়ে মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে এক গমের খেতের ভেতর নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান আসামিরা। রাতেই মেয়েটির স্বজনেরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাঁকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে এলে বিচারক সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন।