রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের এক কর্মীকে পোস্টার সাঁটাতে বাধা ও মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাসহ নৌকার তিন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হামলায় আহত ওই ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আবদুর রাজ্জাক (৩৫) দুর্গাপুর উপজেলার দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের সমর্থক। ওবায়দুর রহমান রাজশাহী-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল (২২), নৌকার প্রার্থীর কর্মী মাড়িয়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন (৩৪) ও মো. জয় (২১)। তাঁদের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন দুর্গাপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সাইফুলের মোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের (ঈগল) প্রতীকের পোস্টার সাঁটাতে গেলে আবদুর রাজ্জাককে বাধা দেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের সমর্থকেরা। বাধা উপেক্ষা করে আবার পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকার সমর্থকেরা আবদুর রাজ্জাককে বেধড়ক মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন আবদুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার আলী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার প্রার্থীর অফিসের সামনে পোস্টার সাঁটাতে যান। এ সময় তাঁদের নিষেধ করলেও তাঁরা না শোনায় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে তাঁরা থানায় মামলা করলে আওয়ামী লীগের নৌকা সমর্থকের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন। ওবায়দুর প্রথম আলোকে বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তাঁর সমর্থক আবদুর রাজ্জাকের একটি হাত ভেঙে গেছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো নিয়ে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।