ব্যালট পেপার ছিনিয়ে জাল ভোট, দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল

শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা কেন্দ্রছবি: প্রথম আলো

নরসিংদী-৩ আসনের দুলালপুরে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বদিউল আলম কেন্দ্র দুটির ভোট গ্রহণ বাতিল করেন।

বাতিল হওয়া কেন্দ্র দুটি হলো শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ও ভিটিচিনাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মো. সজিব বলেন, দুটি কেন্দ্রেই একদল লোক বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারছিলেন। কেন্দ্র দুটিতে গিয়ে সিল মারা অবস্থায় ব্যালট পেপার ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম।

কেন্দ্র দুটির নির্বাচনসংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তি ও স্থানীয় কয়েকজন ভোটার বলেন, দুপুরের পরই দুলালপুর ইউপির দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা দল বেঁধে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর করে কয়েকটি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্সে ভরতে থাকেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা এগিয়ে এলে তাঁরা চলে যান। এ সময় বেশ কিছু ব্যালট পেপার ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে ছিল।

এর কিছুক্ষণ পরই ভিটিচিনাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে নৌকার প্রার্থীর কিছু কর্মী-সমর্থক একই কায়দায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন। খবর পেয়ে প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ওই দুই কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানতে চাইলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘তাঁরা (নৌকা) বুঝে গেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার জয় আটকানো সম্ভব নয়। তাই জাল ভোট মেরে ফলাফল ঘুরানোর চেষ্টা করছেন।’

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকেরা কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট দেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরাই এসব ঘটিয়ে আমাদের অপবাদ দিচ্ছেন।’

এর আগে নরসিংদী-৪ বেলাব-মনোহরদী আসনের বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়। এই জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী।