আমতলীতে এক দিনে কুকুরের কামড়ে ২৭ পথচারী আহত
বরগুনার আমতলী পৌর শহরে আজ শুক্রবার ২৭ জন পথচারী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। কুকুরে কামড়ে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা সদরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী ও তাঁর স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের ফার্মেসি থেকে বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। তবে একাধিক নাকি একটি কুকুরই কামড়িয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, একে স্কুল ও বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আহত মারিয়া, আবু রায়হান, সাফিন, শংকর চন্দ, জাহিদ, রাফি, মাসুদ, আবদুল মালেক, আরাফাত, আবদুল্লাহ, আজম, তমাল, জোহামনি, সীমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অন্যদের বরগুনা জেলা সদর হাসপাতাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শংকর চন্দ বলেন, ‘পৌর শহরের বটতলায় কুকুর আমাকে কামড়িয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনে দিয়েছি।’
আহত সীমা বলেন, ‘বাসায় ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কুকুরে এসে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান বলেন, সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ২৭ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা সদরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। কুকুরের উপদ্রব বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।