ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের গণসংযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুরের শিকার একটি গাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারেছবি: প্রথম আলো।

নোয়াখালী–৫ আসনের কবিরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারকালে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারকাজে ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহেরসহ শতাধিক নেতা-কর্মী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে ভূঁইয়ারহাট বাজারে গণসংযোগ করতে যান। একই সময় সেখানে গণসংযোগে আসেন বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী। তাঁরা বাজারে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ ও স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন আলাবক্সের লোকজনের ওপর হামলা চালালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

হামলায় আহত আলাবক্স তাহের অভিযোগ করেন, ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে গণসংযোগকালে বাধা দেয় স্থানীয় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ওরফে শাহিন। পরে তাঁরা উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে চলে গেলে আবার শাহীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাঁদের গণসংযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। একপর্যায়ে গণসংযোগে হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁদের তিনটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।

আলাবক্স তাহের অভিযোগ করেন, হামলায় তিনিসহ কমপক্ষে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের জানিয়েছেন।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তাই ঘটনার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, নৌকার পক্ষে গণসংযোগ চালাতে গিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে কোনো পক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।