তেঁতুলিয়ায় আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তবে ঝলমলে রোদে স্বস্তি
পঞ্চগড়ে এক দিন বিরতির পর আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে দেখা মিলেছে সূর্যের। ঝলমলে রোদে স্বস্তি আছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের সর্বনিম্ন। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮–১০ কিলোমিটার।
কোনো এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ওই হিসাবে তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এর আগে গতকাল সোমবার তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল না। এ দিন সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে।
গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা তিন দিন উত্তরের এই জনপদে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই তিন দিন তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে। তবে কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দিনের বেলা ওঠে ঝলমলে রোদ।
আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে উঠতে থাকে ঝলমলে রোদ। এতে কর্মব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
জেলা শহরের অটোভ্যানের চালক মোজাহের আলী (৪৬) বলেন, ‘সকালে যেলা বাড়ি তকা (থেকে) আইচ্চু (আসছি) সেলা (তখন) খুপে ঠান্ডা। এ্যাল রোদখান উঠিচে গরমে কাপড়লা গাওত (গায়ে) থুয়া (রাখা) যায় না। রোদখান ভালয় নাগেছে। এই রকম রোদ হলে বেশি ভাড়া মারা যাবে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল আকাশে মেঘ থাকায় তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছিল। তবে সোমবার রাত থেকে মেঘ কেটে গিয়ে হিমালয়ের হিম বায়ু সরাসরি প্রবেশ করায় তাপমাত্রা আবারও কমেছে। রোদে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে।