রাজবাড়ীতে চিঠি উৎসব, সেরা চিঠি লিখে ১০ হাজার টাকা পেল শান্ত

সেরা চিঠি লিখে ১০ হাজার টাকা জিতেছে মোহাম্মদ শান্ত মোল্লা। শনিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার শিক্ষার্থীর চিঠি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিঠি উৎসব ও বইমেলা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় লেখক-পাঠক কেন্দ্রের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উৎসব হয়।

চিঠি উৎসব উপলক্ষে জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিঠি সংগ্রহ করা হয়। ১০ হাজার চিঠির মধ্যে ভালো চিঠি লিখে প্রথম স্থান অর্জন করে অঙ্কুর কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শান্ত মোল্লা। তাকে পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা ও বই উপহার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা অরিন। তাকে পুরস্কার হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা ও বই দেওয়া হয়। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ১০ জনকে বই উপহার দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় সেরা চিঠি লিখে পাঁচ হাজার টাকা জিতেছে তানজিলা অরিন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তুষার আবদুল্লাহ। উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চিঠি উৎসব কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ কুমার সরকার। বক্তব্য দেন লেখক-পাঠক কেন্দ্রের সভাপতি কবি নেহাল আহমেদ, রাজা সূর্য কুমারের নাতি সুভাগত রায় গুহ, জেলা মহিলা পরিষদের সাবেক সভাপতি লাইলী নাহার, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি ফারহানা মিনি। কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ উৎসবে অংশ নেন।

উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ চিঠি লেখা প্রায় ভুলেই গেছে। অথচ আগে সব সময় চিঠি বিনিময় করা হতো। আপনজনেরা প্রিয়জনের চিঠি পাওয়ায় প্রহর গুনত। নানা ছন্দে এসব চিঠি লেখা হতো। প্রিয়জনের লেখা চিঠি অনেকে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করে রেখে দিত। অথচ মুঠোফোনের এই যুগে চিঠি লেখার ঐতিহ্য ভুলে গেছে মানুষ। একটি খুদে বার্তা পাঠিয়েই সবকিছু প্রকাশ করে ফেলা হচ্ছে। মানুষকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু ঐতিহ্য ভুলে গেলে চলবে না।