ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ফয়সাল মিয়া (২২) নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কের কালীকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ফসয়াল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের রকিব মিয়ার ছেলে। তিনি কালীকচ্ছ বাজারে ব্যবসা করতেন। সংঘর্ষে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধরান্তী গ্রামের ইকবাল চৌকিদারের ছেলে আকাশ মিয়া (৩০) সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কের কালীকচ্ছ বাজার এলাকায় নিয়মিত যানজট নিরসনে কাজ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আকাশ একই ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল মিয়ার (২৫) মোটরসাইকেলে লাঠি দিয়ে সামান্য আঘাত করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আকাশ ও তাঁর লোকজন সূর্যকান্দি গ্রামের মামুন মিয়াকে (৪০) পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। এ ঘটনায় রাত আটটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, দা-বল্লম নিয়ে কালীকচ্ছ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফয়সালকে উদ্ধার করে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন, উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন, সহকারী উপপরিদর্শক আবদুস সালাম, পুলিশ সদস্য অহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রাশেদ সরকার গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া সাংবাদিক মাসুদ মিয়া, পথচারী জুম্মান মিয়া (২৫), খায়ের মিয়াসহ অন্তত ১০ জন হন। তাঁরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।