রাজশাহীতে টুকরা ইলিশ বিক্রিতে লোকসান, ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম বিক্রির সিদ্ধান্ত

রাজশাহীতে কেটে ইলিশ মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নগরের সাহেববাজার মাছপট্টিতেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর বাজারে আজ বৃহস্পতিবার থেকে কেটে ইলিশ মাছ বিক্রি চালু করা হয়েছে। তবে ঘোষণা অনুযায়ী এক টুকরা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, টুকরা হিসেবে বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে। ফলে ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম বিক্রি করা হচ্ছে, যার সর্বনিম্ন দাম পড়ছে ৪০০ টাকা।

চড়া দামের কারণে অনেক গরিব মানুষের পক্ষে আস্ত ইলিশ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের সাহেববাজার মাছপট্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কাটা ইলিশ বিক্রির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ব্যানার মাছপট্টির সামনেই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। উদ্বোধক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান ও ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্বোধন উপলক্ষে একটি মাছ কেটে রাখা হয়। কিন্তু সেই সময় কাটা মাছ বিক্রি হয়নি। বেলা সোয়া একটার দিকে মাছপট্টিতে ঢুকে দেখা যায়, বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি। দামাদামি করে ক্রেতারা এই ইলিশ দুই থেকে এক শ টাকা কমও কিনতে পারছেন। গড়ে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি দোকানে কাটা ইলিশ পাওয়া যায়। সেগুলো ছোট ইলিশের টুকরা। এক টুকরা হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে না। ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম নিতে হবে। যে আকারের ইলিশ কেটে রাখা হয়েছে, তার কেজি ৭০০ থেকে এক হাজার টাকার নিচে।

আরও পড়ুন

যে দোকানে কাটা ইলিশ পাওয়া গেল, সেই দোকানির নাম মো. রিপন আলী। তিনি বললেন, মাছটা কেটেই নষ্ট হলো। কেউ নিচ্ছে না। আরেকজন ব্যবসায়ী বললেন, তিনি একটা মাছ কেটেছিলেন, বিক্রি হয়ে গেছে। আর কোনো দোকানে কাটা ইলিশ নেই। সবাই আস্ত ইলিশ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, টুকরা হিসেবে মাছ বিক্রি করলে ভালো ভালো টুকরা বিক্রি হয়ে যাবে। মাথা আর লেজ পড়ে থাকবে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা এত দামি মাছ টুকরা হিসেবে বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। এ জন্য ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম কিনলে তার সঙ্গে মাথা ও লেজ কেটে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রচার না হওয়ার কারণে ক্রেতা আসছেন না। তবে কোনো ক্রেতা এসে কাটা মাছ না পেলে তাঁদের কাছে অভিযোগ করার কথা বলা হয়েছে।