ধানখেতে পড়ে ছিল চালকের লাশ, অটোরিকশা উধাও
শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ-জামালপুর সড়কের খুনুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে মো. উজ্জ্বল মিয়া (৪০) নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
শনিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মো. উজ্জ্বল মিয়া সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের হলকু শেখের ছেলে। পুলিশের ধারণা, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাঁকে খুন করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
উজ্জ্বল মিয়ার বাঁ পায়ে কিছুটা সমস্যা থাকায় তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারতেন না।
স্বামীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী করুণা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। পায়ে সমস্যা থাকার পরও তাঁর স্বামী সংসার চালানোর জন্য অটোরিকশা চালাতেন। বসতঘর ছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই তাঁদের। স্বামী হারিয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উজ্জ্বল মিয়া তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১২টার দিকে স্ত্রী করুণা বেগমের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি।
আজ সকাল নয়টার দিকে এলাকার কয়েকজন সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ-জামালপুর সড়কের খুনুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানখেতে উজ্জ্বল মিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমানসহ র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উজ্জ্বল মিয়ার গলায় দাগ ও ডান কান থেকে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গতকাল দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করছে।