গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল সরিয়ে নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বস্তাভর্তি ফাইল আটকে দিয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহস্রাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নগর ভবনের সভাকক্ষে স্তূপাকারে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। সোমবার দুপুরে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হলে তড়িঘড়ি করে ওই ফাইলগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিছু ফাইল সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে সরিয়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সিটি করপোরেশনের সামনে এসে ফাইলভর্তি একটি লেগুনা আটকে দেন। পরে ফাইল সরানো বন্ধ হয়।
নাম প্রকাশ না করে সিটি করপোরেশনের কয়েক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের কার্যকালে সিটির আটটি জোনের সহস্রাধিক শিল্প ও বাণিজ্যিক ফাইলে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। ২০২৩ সালে জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সব শিল্প ও বাণিজ্যিক ফাইলগুলো তদন্তের জন্য নগর ভবনে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখন জায়েদা খাতুন মেয়র পদে না থাকায় বিভিন্ন জোন থেকে ফাইলগুলো নিয়ে যাচ্ছিল।
নাম প্রকাশ না করে অপর এক কর্মকর্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ফাইলগুলো নগর ভবনে পড়ে থাকলেও কেউ এসব ফাইল নিতে এল না। এখন মেয়র অপসারণের পর হঠাৎ ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলতে যাওয়ায় সবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা সিটি করপোরেশনের এসে ফাইলগুলো আটকে দেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আবদুল হান্নান বলেন, বিভিন্ন জোন থেকে তালিকা তৈরি করে এসব ফাইল নগর ভবনে আনা হয়েছিল। এখন আবার তালিকা করে যার যার জোনে এসব ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।