শেরপুরে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে কার্যালয় ছাড়লেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক

শেরপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সেলিম মিঞাছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তোপের মুখে নিজ কার্যালয় ছেড়েছেন শেরপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সেলিম মিঞা। আজ শনিবার দুপুরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান তিনি। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করে তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে সেলিম মিঞা বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। হাসপাতালের রাজস্ব আয় বাড়িয়েছেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে বেআইনি সুবিধা আদায় করতে না পারায় একটি রাজনৈতিক দলের কিছু লোক আজ তাঁর কার্যালয়ে এসে তাঁকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। পরে হাসপাতালের কার্যালয় ত্যাগ করে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। মূলত তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের কাজ করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ দলীয় শেরপুর-১ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ছানুয়ার হোসেন ও সাবেক হুইপ মো. আতিউর রহমানের আস্থাভাজন সেলিম মিঞা নেত্রকোনার সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জুলাইয়ে তিনি শেরপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদান করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা সেলিম মিঞা নিজ জেলা শেরপুরে যোগদানের পর থেকে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে চাকরি থেকে বের করে দিয়ে নিজের পছন্দমতো লোকজনকে নিয়োগ, ওষুধ ও মালামাল ক্রয়ের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে শতাধিক বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞার অপসারণ দাবি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সেলিম মিঞা হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত তাঁর কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরের নারায়ণপুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সদর হাসপাতালের ফটকে গিয়ে বিক্ষোভ শেষ করেন।