কুমিল্লায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ৩৪২ জনকে আসামি করে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে কুমিল্লার দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১৪২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিতাস থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী মো. জামির হোসেন। তিনি তিতাস উপজেলা সদরের কড়িকান্দি ইউনিয়নের কড়িকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুস সবুর, কুমিল্লা-২ আসনের (তিতাস-হোমনা) জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভূঁইয়া, কড়িকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মজিদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সরকার, কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ, নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকা প্রমুখ।
এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের হত্যার উদ্দেশ্যে সাবেক দুই সংসদ সদস্যদের নির্দেশে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কড়িকান্দি বাজার থেকে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বাদী। মিছিলটি গৌরীপুর-হোমনা সড়কের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। বাদী জামির হোসেন বলেন, তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। ছাত্রদের সমর্থনে মিছিলে গিয়ে তিনি হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।