ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের রায় পেছাল
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় কথিত স্ত্রীর করা ধর্ষণ মামলার রায় পিছিয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই মামলার রায়ের তারিখ ধার্য থাকলেও বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম ছুটিতে থাকায় মামলার রায়ের তারিখ পেছানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার রায় পেছানো হয়েছে। ২৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের তারিখ পেছিয়ে ২৪ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ৩ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম ১৪ অক্টোবর মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে ওই কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রয়েল রিসোর্ট–কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই কথিত স্ত্রী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ওই কথিত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।