ক্ষমতার রাজনীতি করি না, মানুষের জন্য রাজনীতি করি: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতার রাজনীতি করি না, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমরা ইসলামের সম্মান রক্ষা করার জন্য রাজনীতি করি। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ অরাজনৈতিক সংগঠন। কোনো দলীয় রাজনীতি হেফাজতে ইসলাম করে না। কিন্তু ইসলামের ওপর আঘাত এলে একমুহূর্তের জন্য হেফাজতে ইসলাম অতীতেও নীরব থাকেনি, ভবিষ্যতেও নীরব থাকবে না।’
আজ রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা সদরের সিঙ্গাইর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে খেলাফতে মজলিসের সিঙ্গাইর উপজেলা শাখা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুফতি নাজমুল হাসান কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলামের নির্বাহী সদস্য মুফতি আমিনুল ইসলামী কাসেমী ও সিঙ্গাইর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসউদুর রহমান আইয়ূবী।
ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘ওদিকে (ভারতে) আমাদের নবী (সা.)–এর ওপর আঘাত হানবে আর আপনারা ইলিশ মাছ রপ্তানি করবেন! এই প্রেমপ্রীতি বাংলাদেশের মানুষের চোখে ভালো লাগে না। মহানবী (সা.)-এর ইজ্জতের ওপর আঘাতকারীদের সঙ্গে ব্যবসা করে বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করার প্রয়োজন নেই। নবী (সা.)-এর ওপর আক্রমণকারীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই।’
কিছু আইনের সংস্কারের নামে বাংলাদেশে পাশ্চাত্যের বেহায়াপনাকে আমদানি করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলি, যদি এভাবেই আমাদের ধর্মকে, আমাদের ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাচেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, আমরা আবার শাপলা চত্বরে যেতে বাধ্য হব।’
হেফাজতে ইসলামের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে স্বৈরাচারী সরকার বারবার চেষ্টা করেছিল অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত সরকার এ দেশের আলেম সমাজের ওপর সবচেয়ে বেশি দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। আমরা লক্ষ করেছি, ২০১৩ সাল এবং ২০২১ সালে যেভাবে হেফাজতে ইসলামের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা মনে করেছিল, হেফাজতে ইসলামকে নির্যাতন করলে দমে যাবে। হেফাজতে ইসলামের ওপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করলে কণ্ঠ নিস্তব্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু বারবার প্রমাণিত হয়েছে, জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে অন্য কাউকে ভয় দেখানো যায়, কিন্তু ইসলামের সৈনিকদের দমিয়ে দেওয়া যায় না।’