তিন বান্ধবী গোসলে নেমেছিল পুকুরে, লাশ মিলল একজনের, নিখোঁজ ১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নামা তিন শিশুর মধ্যে নিখোঁজ এক শিশুর উদ্ধারে চলছে অভিযান। বৃহস্পতিবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

তাসলিমা (১১), ফাতেমা (৯) ও জিম (১০) তিন বান্ধবী গোসল করতে নেমেছিল পুকুরে। মুহূর্তের মধ্যে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফাতেমার লাশ পান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় জিমকে। কিন্তু এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি তাসলিমার। আজ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।

মারা যাওয়া ফাতেমা খাতুন উপজেলার বেথুলী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং জিম খাতুন একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে। নিখোঁজ তাসলিমা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আবদুল বারীর মেয়ে। সে নানার বাড়ি বেথুলী গ্রামে এসে ওই দুজনের সঙ্গে গোসলে নেমেছিল।

বেথুলী গ্রামের শামীম হোসেন জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তিন মেয়ে একসঙ্গে গ্রামের পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে কিছুক্ষণের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের গোসল করতে নামার পর পানিতে দেখতে না পেয়ে স্বজনদের খবর দেন। তাঁরা ছুটে এসে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে মৃত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় জিমকে উদ্ধার করা হয়। তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও তাসলিমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বিকেল চারটার দিকে ডুবুরিকে খবর দেওয়া হয়।

নিখোঁজ তাসলিমার নানা দুখু বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় নাতনি বেড়াতে এসেছিল। তার জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে, কখনো তিনি ভাবতে পারেননি।

কালীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে ডুবুরি খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অপেক্ষায় আছেন। ডুবুরি এলে নিখোঁজ শিশুটির উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শিশু তিনটি পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল। এরপর পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে, একজন এখনো নিখোঁজ। বাকি এক শিশু অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি বলেন, নিখোঁজ শিশুর উদ্ধারে ডুবুরি দল খুলনা থেকে রওনা দিয়েছে। তারা এলে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।