পুঠিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে এলাকায় থেকে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জি এম হিরা বাচ্চু। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পুঠিয়ার নির্বাচন নিয়ে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। সরকারি কাজে তিনি রাজশাহীতে এসেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ সরকারি সফরে গত বুধবার রাতে রাজশাহীতে আসেন। তিনি পুঠিয়ার বিড়ালদহে নিজ বাড়িতে রাত যাপন করছেন। পাশাপাশি রাজশাহী নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল শনিবারও কৃষক ও পানচাষিদের দুটি কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
তবে রাজশাহীতে প্রতিমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে করা অভিযোগে তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ফোন করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে ১১ মে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম সভা ডেকে আবদুস সামাদকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। বুধবার রাত থেকে প্রতিমন্ত্রী পুঠিয়ার বিড়ালদহে অবস্থান করছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ডেকে এনে সামাদের পক্ষে কাজ করতে বলছেন। কেউ আপত্তি করলে তাঁকে হুমকি ও চাপ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ আজ শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি রাজশাহীতে সরকারি সফরে এসেছেন। নির্বাচনে তাঁর কোনো কাজ নেই। তিনি এসেছেন সরকারি কাজ করতে। প্রতিদিনই সেসব কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুঠিয়ায় বাড়ি হওয়াতে সেখানে গিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়ি সবার জন্য উন্মুক্ত। নির্বাচনের কারণে কাউকে বাড়িতে আসতে দিচ্ছেন না। ২১ তারিখ ভোট হবে, তারপর আসতে দেবেন। শহরে থাকা হয় না। গ্রামেই সব সময় থাকেন। পুঠিয়ার নির্বাচন নিয়ে কিছুই জানেন না। কেউ মিথ্যাচার করছেন, কেউ ছবি লাগাচ্ছেন। পুঠিয়াতে কে চেয়ারম্যান হবেন, কে হবেন না—সে বিষয়ে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পুঠিয়ার নির্বাচন নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হিরা বাচ্চু ছাড়াও আরও দুজন প্রার্থী আছেন। তাঁরাও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ (আনারস) এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক (ঘোড়া)। গত সংসদ নির্বাচনে হিরা বাচ্চু ও আবদুস সামাদ প্রতিমন্ত্রীর হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন। আহসানুল হক জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানের হয়ে কাজ করেছেন।