মতলব দক্ষিণে একেকটি মরিচ ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। দাম নাগালের বাইরে থাকায় ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কিনছেন পিস হিসেবেও। প্রতিটি কাঁচা মরিচ দুই থেকে তিন টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সবজি বিক্রেতা। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার কাঁচাবাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে আমদানি কম থাকায় কাঁচা মরিচের এই উচ্চমূল্য। তবে একাধিক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় কাঁচা মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
আজ সকাল ১০টায় উপজেলা সদর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেশ কয়েকজন সবজি বিক্রেতা কাঁচা মরিচের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। বেচাকেনা তেমন নেই। মাঝেমধ্যে কিছু ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কিছু ক্রেতাকে বেশি মূল্য দিয়েই কাঁচা মরিচ কিনতে দেখা গেছে। কেউ কেউ পিস হিসেবেও কিনছেন।
উপজেলা সদর বাজারের কাঁচা তরকারি বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাঁর বাজারে তেমন হারে কাঁচা মরিচ উঠছে না। আগে দোকানে তিনি প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি করে কাঁচা মরিচ তুলতেন। বিক্রি হতো প্রায় সব মরিচ। গতকাল ও আজ দোকানে তুলেছেন মাত্র সাত থেকে আট কেজি কাঁচা মরিচ। সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে না। দাম খুব বেশি হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না সেগুলো। কেউ কেউ ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম করে কিনছেন। নিম্ন আয়ের অনেক ক্রেতা খরচ বাঁচাতে পিস হিসেবেও কিনছেন মরিচ। প্রতি পিস কাঁচা মরিচ ২ থেকে ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গুনে গুনে মরিচ কিনে দাম দিচ্ছেন। ওই বিক্রেতা দাবি করেন, টানা বৃষ্টির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে কাঁচা মরিচের। এ জন্য দাম এত বেশি।
উপজেলার কলাদী এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে ৩০ টাকায় বাজার থেকে ১৫টি কাঁচা মরিচ কিনেছেন। তাঁর মতো নিম্ন আয়ের আরও অনেকেই এই ‘পিস পদ্ধতিতে’ মরিচ কিনছেন। এতে খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বাজারে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে তদারকি অব্যাহত রাখবেন। তদারকি না থাকার অভিযোগ সত্য নয়।