ক্রিকেট আর নৈশভোজে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করলেন গ্রামের তরুণেরা
ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের সাবেক খেলোয়াড়েরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে মেতেছিলেন ক্রিকেট খেলায়। খেলাধুলা শেষে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়। মুঠোফোন আসক্তি থেকে তরুণদের ফিরিয়ে এনে খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাধাকান্তপুর হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে এই প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। গ্রামের সাবেক খেলোয়াড় তুষার, মাসুদ ও শামীম ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে এই উদ্যোগ নেন। তাঁরা তিনজন রংপুর, পাবনা ও ঢাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
খেলার শুরুতে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান। তিনি বলেন, রাধাকান্তপুর গ্রামের মাঠে এই খেলা হচ্ছে। এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে সারা বিশ্বের মানুষ এই খেলা উপভোগ করতে পারবে। খেলাধুলা হচ্ছে আনন্দের জন্য। ভালো কিছু করতে গেলে একটু বাধা আসতেই পারে। এতে দমে গেলে চলবে না।
ঢাকার একটি পোশাক কারখানার মহাব্যবস্থাপক আহমেদ বাবর গ্রামের কৃতী সন্তান। তিনি আজ থেকে ২৭ বছর আগে এই গ্রামের ছেলেদের নিয়ে খেলাধুলা করতেন। গ্রামের তরুণদের খেলাধুলার জন্য তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, খেলাধুলা না করলে তরুণেরা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। সুস্থ বিনোদনের জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।
গ্রামের সন্তান ও সাবেক খেলোয়াড় ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক ফারুক আহমেদ বলেন, শারীরিক সুস্থতা এবং সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য খেলাধুলা করতেই হবে।
খেলায় আলমগীর একাদশ ফারুক একাদশকে হারিয়ে ১৯ রানে জয় লাভ করে। এই খেলার পুরস্কার ছিল নৈশভোজ। রাতে রাধাকান্তপুর হাইস্কুল ও কলেজের মাঠে ভোজের আয়োজন করা হয়। এখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই বাজার করে রান্নাবান্না করেন। সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাজার করে নিয়ে এসে তাঁরা রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেখে মনে হলো, তখনই সত্যিকারের ঈদের আড্ডা জমে উঠেছে। রান্নার কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলছে খেলা নিয়ে পর্যালোচনা।