মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে সস্ত্রীক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ সকালে
ছবি : প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে সস্ত্রীক পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছান।

স্ত্রী এমিকে নিয়ে পিটার ডি হাস কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁকে স্বাগত জানান। ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের তিন পরিচালক শ্রীমতি সাহা, শম্পা সাহা ও মহবীর পতি; কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, উপমহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিটার হাস কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা-চক্র শেষে কুমুদিনী মিলনায়তনে যান। সেখানে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘কুমুদিনী কমপ্লেক্সের হাসপাতাল, স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো কাজ করছে, যা দেখে আমি মুগ্ধ।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌছালে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। আজ সকালে
ছবি : প্রথম আলো

মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনসহ অন্য কোনো পরিস্থিতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে তিনি সেখানে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রায় আট মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখেন। সেখানে রাজীব প্রসাদ সাহা তাঁকে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কর্মকাণ্ডের বিশদ ধারণা দেন। এরপর কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ভারতেশ্বরী হোমসের মাঠে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শারীরিক কসরত উপভোগ করেন রাষ্ট্রদূত।

মধ্যাহ্নভোজ শেষে বেলা পৌনে তিনটার দিকে পিটার হাস ঢাকার উদ্দেশে মির্জাপুর ত্যাগ করেন।

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট বাংলাদেশের জনকল্যাণকর সংস্থাগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও প্রাচীনতম। শিল্পপতি ও দানবীর হিসেবে খ্যাত শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৪৭ সালে তাঁর মা কুমুদিনীর স্মরণে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রণদা প্রসাদ সাহাকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।