বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ও রাজনীতিকদের অপ্রচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনের চট্টগ্রাম নগর শাখা। এতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন ।
‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ও রাজনীতিকদের প্রোপাগান্ডার’ প্রতিবাদে আয়োজিত এ গণজমায়েতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব হারুন ইজহার বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাসিনা চলে যাওয়ার পর আমরা দেখলাম প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হঠাৎ করে সরগরম হয়ে উঠল। গত ১৭ বছরে হাসিনার ফ্যাসিবাদ এবং বর্তমান বাংলাদেশের অস্থিরতার পেছনে আওয়ামী লীগ একা দায়ী নয়। তার পেছনে হিন্দুস্তানের আধিপত্যকে দায়ী করতে চাই।’
হারুন ইজহার বলেন, ‘চিম্ময়সহ অনেকে ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র করছে, যা কিছু হচ্ছে বাংলাদেশে, সুপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ অসংখ্য সংগঠনকে ভারত পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করে। অনেক হিন্দু নেতাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে। আমি সেসব হিন্দু নেতাদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা ভারতের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
সংগঠনের চট্টগ্রাম শাখার নায়েবে আমির আইয়ুব বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন, মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিবুল্লাহ আজাদী প্রমুখ।
জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ গণজমায়েত শেষে নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল নেতা-কর্মীদের। এ নিয়ে পুলিশের নিরাপত্তাও ছিল কঠোর। পরে সিদ্ধান্ত বদলে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হেফাজত। সমাবেশ শেষে তাঁরা মিছিল নিয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে দোয়া মাহফিল করেন। পরে প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে চারটি দাবি উল্লেখ করা হয় হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার বন্ধে পদক্ষেপ, রাজনীতিবিদদের দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা ও দুই দেশের সম্পর্কের মসৃণতা বজায় রাখা।