জামালপুরে কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ
শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারার দরপত্র ছিনতাই করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে লাঞ্ছিত করে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জামালপুর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছিত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সওজ জামালপুর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন ও অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানী। আজ ওই কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মেসার্স অর্ণব ব্রিকস নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র ছিনতাইয়ের এই ঘটনা ঘটে।
সওজ জামালপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারার জন্য ১১ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। গতকাল বুধবার দরপত্র বিক্রির শেষ সময় ছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল।
সওজ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একটি দরপত্র জমা হয়। বেলা সাড়ে ১২টার পর দরপত্রের বাক্স খুলে দরপত্রটি আমার রুমে নিয়ে আসা হয়। দরপত্রটি শেরপুর সার্কেল অফিসে পাঠানোর জন্য স্মারক নম্বর দেওয়াসহ দাপ্তরিক কাজ করার সময় ৬ থেকে ৭ জন দুর্বৃত্ত এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তারা অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানীসহ আমাকে লাঞ্ছিত করে দরপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে আমরা ওই সব দুর্বৃত্তদের চিনতে পারি নাই।’
মেসার্স অর্ণব ব্রিকসের প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ আজকে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। দরপত্রের সব কাজ শেষে সিলগালা করে দরপত্রের বাক্সে জমা দেওয়া হয়। এ জায়গার যিনি দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি দরপত্রটি খুলে শেরপুর পাঠানোর জন্য কাজ করছিলেন। এমন সময় কয়েকজন এসে দরপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওয়াজিস রহমান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা এসে অফিসের স্টাফদের লাঞ্ছিত করে দরপত্র ছিনতাই করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’