হোসেনপুরে কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে শীর্ষ তিন পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে ভোট প্রত্যাখ্যান করে নতুন সম্মেলনের দাবি জানায়। এর প্রতিবাদে বিজয়ী সভাপতি বাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সরকার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিপক্ষ কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জিনারী ইউনিয়নের হাজীপুর বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবনির্বাচিত সভাপতি বাহার উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৭ ডিসেম্বর জিনারী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়াকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ভোটের আয়োজন করা হয়। ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১৩ জন এবং ১৮ জন ভিআইপি ভোটার মিলে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৫ জন। ভোট দেন ১৩২ জন। এতে সভাপতি পদে বাহার উদ্দিন ৬৯ ভোট পান। প্রতিদ্বন্দ্বী ফখরুল আলম খান পেয়েছেন ৬২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বাবুল মিয়া পেয়েছেন ৫৬ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম সরকার পান ৪৩ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলম সরকার পেয়েছেন ৭২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন পান ৪৫ ভোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাজী ইসরাইল মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে পরাজিত পক্ষ ফখরুল আলম খান, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় হাজীপুর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা ভোটার তৈরিতে কারসাজিসহ নানা অভিযোগ তোলেন।
পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ফখরুল আলম বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন করে ভোটার করতে বলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রতি ওয়ার্ড থেকে পছন্দমাফিক লোকদের নিয়ে ১৩ জন করে ভোটার করা হয়। মৃত ব্যক্তিকেও ভোটার করা হয়। এ জন্য তাঁরা নতুন সম্মেলনের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। জেলার নেতাদের উপস্থিতিতে ভোট হয়েছে। সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলন করে নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন পরাজিত প্রার্থীরা যে অভিযোগ করার চেষ্টা করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।