নোয়াখালীতে আবদুল হান্নান মাসউদ: মানুষ ভয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছেন

নোয়াখালীতে ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। আজ দুপুরে হাতিয়ার ভূমিহীন বাজারেছবি: প্রথম আলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘এই দেশের মানুষ এখনো কাউকে ভয় পায় না। যেদিন ভয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছে, সেদিন শেখ হাসিনা এই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। যারা ভোট ডাকাতি করেছে, কেন্দ্র দখল করেছে, তারা কেউ এখন এলাকায় নেই। কারণ, মানুষের ভয় কেটে গেছে, মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী ভূমিহীন বাজারে স্থানীয়দের আয়োজনে ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি, প্রতিটি গাছের পাতা আমাদের কাছে জীবনের চেয়েও মূল্যবান। দিল্লির মসনদ থেকে কেউ যদি এই বাংলাদেশের মাটির দিকে, মানচিত্রের দিকে হাত বাড়ায়, সে হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে এই দেশের মানুষ যেভাবে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে, দিল্লির দালালদেরও সেভাবে নাকানি-চুবানি খাওয়ানো হবে। ভবিষ্যতে কোনো দেশ যদি এ দেশের দিকে হাত বাড়ায়, তবে সে দেশের মাটিও নিরাপদ থাকবে না।’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে আবদুল হান্নান বলেন, ‘তারা মনে করে, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আবার এই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে। এই দেশের মানুষ যদি সেদিন ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে পেত, তাহলে তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যেত না। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে দিল্লির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’

আবদুল হান্নান বলেন, ‘আপনারা আমাকে নাম ধরে ডাকতে পারেন। ভাই বলে ডাকতে পারেন। আমি নেতা হওয়ার জন্য আপনাদের সামনে আসিনি। অনেকে নেতা হয়ে শোষণ করেছে, আবার বিতাড়িতও হয়েছে। নেতারা নির্যাতন করতে পারে, কিন্তু ভাই কিংবা সন্তান কখনো কারও ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করতে পারে না। আমি আপনাদের কাছে সন্তান হয়ে থাকতে চাইছি।’

সমাবেশে চানন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম কে বেলালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক হাফিজুর রহমান, নোয়াখালী জেলা সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, ছাত্র সমন্বয়ক নুর আলম, স্থানীয় ব্যবসায়ী এম এ হাশেম, আমির হোসেন, জাকের হোসেন, শিক্ষক আক্তার হোসেন, জিয়া মঞ্চের সভাপতি বোরহান শিকদার প্রমুখ।