ঘন কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি
বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন চালকেরা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও তিন থেকে চার দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। আর দুর্ঘটনা রোধে চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে কুমিল্লা জেলায়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে কমে গেছে দৃষ্টিসীমা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
মহাসড়কে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী এবং চৌদ্দগ্রামের কয়েকটি অংশে গিয়েও একই দৃশ্য দেখা যায়।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের চালক আবদুস সালাম বলেন, এবারের শীত মৌসুমে এমন কুয়াশা আর দেখা যায়নি। পুরো মহাসড়কে একই অবস্থা। কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ১০ থেকে ১৫ হাত সামনে দেখতেও কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
বেলতলী এলাকায় মোটরসাইকেলচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘যেমন কুয়াশা, তেমনই তীব্র ঠান্ডা। এমন অবস্থা এই মৌসুমে প্রথম দেখলাম। ভারী শীতের কাপড় পরেও ঠান্ডার কারণে মোটরসাইকেল চালাতে কষ্ট হচ্ছে। সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।’
দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় ট্রাকচালক কবির মিয়া বলেন, ‘ঢাকা থেকে ভোরে রওনা দিছি চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য। কিন্তু এত ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। আস্তে আস্তে গাড়ি চালাচ্ছি। সামনে কিছু দেখা যায় না, এ জন্য হেডলাইট জ্বালিয়ে রেখেছি।’
হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি খায়রুল আলম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছুটা ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন চালকেরা। মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকলে দুর্ঘটনা ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ জন্য হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। গতির চিন্তা না করে সাবধানে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক এ এস এম ওয়ারেসুন্নবী বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে পারে। বিশেষ করে আগামী তিন থেকে চার দিন ঘন কুয়াশা এবং তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়বে।