কাজ শেষ হওয়ার আগেই হেলে পড়ল সীমানাপ্রাচীর

আনোয়ারায় পারকি সৈকত পর্যটন কমপ্লেক্সের দেয়াল এভাবে হেলে পড়েছে। গতকাল দুপুরে তোলাছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সমুদ্রসৈকতে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পারকি সৈকত পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হওয়ার আগেই হেলে পড়েছে সীমানাপ্রাচীর। গত শুক্রবার এর দক্ষিণ দিকের দেয়াল হেলে যায়। এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও সীমানাপ্রাচীরের উত্তর পাশের অংশ হেলে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পারকি সৈকত পর্যটন কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের কারণে নির্মাণাধীন সীমানাপ্রাচীর বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লোনাপানির বালু ব্যবহার ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এসব কাজ টেকসই হচ্ছে না। সর্বশেষ গত শুক্রবার এ প্রকল্পের একটি দেয়াল হেলে পড়ে।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পারকি সৈকত এলাকায় ১৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গায় শুরু হয় ৭৯ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের বহু কাজ শেষ হয়নি। মাঝখানে দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণসামগ্রীও নষ্ট হয়। বিভিন্ন ভবনেও ফাটল দেখা যাচ্ছে। ফলে গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন পারকি সৈকত পর্যটন কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কটেজ ও স্থাপনার কাজ চলছে। ওই কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশের সীমানাপ্রাচীরের মাঝখানের অংশ হেলে পড়েছে এবং ওই অংশ দিয়ে বালু বের হয়ে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। হেলে পড়া প্রাচীরের পাশে বালু আটকাতে গাছের গুঁড়ি দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজগুলোকে তিন ভাগে বাস্তবায়ন করছে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে সীমানাপ্রাচীর ও গেট পোস্টের কাজ করছে মেসার্স রাজ করপোরেশন, বালু ভরাট, হ্রদ, ভেতরের রাস্তা ও নালার কাজ নিয়াজ ট্রেডার্স এবং অবকাঠামোগত অন্যান্য কাজ করছে দেশলিংক লিমিটেড। তার মধ্যে দেশলিংক লিমিটেডের অধিকাংশ কাজই থমকে আছে।

প্রকল্পের প্রকৌশলী অসীম শীল বলেন, টানা বর্ষণের কারণে প্রকল্পে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পানি ও বালুর চাপে সীমানাপ্রাচীর হেলে পড়ে।

তবে রাজ করপোরেশনের পরিচালক সুজন সিংহ বলেন, ‘নির্মাণকাজে অনিয়ম হয়নি, তবে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অতিবৃষ্টির কারণে সীমানাপ্রাচীরের সামান্য অংশ হেলে পড়েছে। আমরা এটি আবার সংস্কার করে দেব।’