সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে করা দুটি মামলার আসামি আবদুল্লাহ (২২) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক আবদুল মোমেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে বিচারক তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, এ নিয়ে দুটি মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার ও একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
১ আগস্ট সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার রাতে হাসপাতালে রোগীর স্বজন পরিচয়ে কয়েকজন তরুণ কর্তব্যরত এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণ করেন। পরে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে দেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের ফটকের পাশে দুই ছাত্রের ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলার ঘটনায় ২ আগস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিলেট কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা করে। শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে করা দুটি মামলাতেই আবদুল্লাহ এজাহারভুক্ত আসামি।
মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাতে হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে ১ আগস্ট রাতে প্রশাসনের আশ্বাসে পরদিন ২ আগস্ট বেলা ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবার হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। পরবর্তী সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে কাজে যোগ দেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও একই আলটিমেটাম এবং সঙ্গে মেডিকেলে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।