চুয়াডাঙ্গায় ১৬ বছর আগের হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক এমপি আজগারসহ ২২ জনের নামে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

১৬ বছর আগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যুবদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আলী আজগার টগরসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা যুবদলের সদস্য মো. শাহাবুদ্দীন দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলা করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেন মামলাটি আমলে নেন এবং তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এম শাহজাহান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল হান্নান, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ প্রমুখ।

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দর্শনায় কেরুর কুলি লাইন এলাকায় শ্বশুর মিজানুর রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন বাদী মো. শাহাবুদ্দীন। সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগারের নির্দেশে আসামিরা ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দা, লাঠি, ফালা, পিস্তল, লোহার রড, জিআই পাইপ, বোমাসহ মিজানুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে মো. শাহাববুদ্দীনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। আসামি হাফিজুল মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে স্ত্রী কহিনুর আক্তার তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম কহিনুরকে কুপিয়ে জখম করেন। শাশুড়ি নুরজাহান ঠেকাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা ওই বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালালে অন্তত ২ লাখ টাকার  ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া বাড়ির আলমারিতে থাকা ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হামলার সময়  মো. শাহাবুদ্দীনের শাশুড়ির চিৎকারে কয়েকজন প্রতিবেশী ছুটে এলে আসামিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন এবং বীরদর্পে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে এলাকা ত্যাগ করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মো. শাহাবুদ্দীন ও তাঁর স্ত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। যুবদলের এই নেতার অভিযোগ, আসামিরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হওয়ায় থানায় একাধিকবার মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি।