মুসলমানদের ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে কথিত বুদ্ধিজীবীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম
ছবি: প্রথম আলো

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব ইসলামবিরোধীদের বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্রদের বিভিন্ন পুস্তক অধ্যয়ন করে জ্ঞান অর্জনে গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, মুসলমানদের ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে কথিত বুদ্ধিজীবীরা যুগ যুগ ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।

আজ রোববার সকাল থেকে বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনে ‘বিশ্বব্যাপী ইসলামোফোবিয়া রোধে মুসলিম উম্মাহর করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও নাশীদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এ কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহপ্রচার ও দাওয়াহ–বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ইসলামে যে একটি পরিপূর্ণ শান্তির জীবনবিধান, তা বিজাতীয়রা বুঝতে শুরু করলেও অনেক মুসলমান এখনো ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে অবগত নয়। আমরা ওই সব মুসলমানকে ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান সম্পর্কে বোঝাতে না পারার কারণে আজও তারা অবুঝ থেকে যাচ্ছে।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই কওমিয়া শাখার সভাপতি ফয়জুল্লাহ বিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মিসরের আল–আজহার ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত গবেষক শায়খ যাকী মুহাম্মাদ আবু সারী। বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, চরমোনাই ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ জিয়াউল করীম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রত্যেক ছাত্রকে ত্যাগী ও দানশীল হতে হবে। নিজের চেয়ে অপরকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজসেবা করতে হবে। সাহাবাদের নমুনায় ইসলামি হুকুমত কায়েমের জন্য ত্যাগী ও শাহাদাতবরণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করতে হবে। সাহাবাদের ন্যায় ইমানের তাগিদে হিজরত বা দেশত্যাগ করতে হবে। ইসলাম কায়েমের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে।