নীলফামারীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার ৩ কিশোর শিক্ষার্থীর জামিন

নীলফামারীতে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে র‌্যাব ও বিজিবি মাঠে নামে। গত ১৮ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পিটিআই মোড়েছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার স্কুল ও কলেজের কিশোর বয়সী তিন শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রথম আদালতের বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া তিন শিক্ষার্থীর একজন নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র (১৬), মামলার এজাহারে পুলিশ তার বয়স দেখিয়েছে ২৩ বছর। অন্য দুজন নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পাস করে কিশোরগঞ্জ বিএম কলেজ ও নীলফামারী সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। দুজনের বয়স ১৭ হলেও এজাহারে ১৯ বছর দেখিয়েছে পুলিশ।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই নীলফামারীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনার দিন ওই তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে ১৯ জুলাই সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা ১৬ আসামির বেশির ভাগের বয়স ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে দেখানো হয়। ওই শিক্ষার্থীরাও এজাহারনামীয় আসামি। মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁদের সন্তানেরা শিশু দাবি করে ২৫ জুলাই নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রথম আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আজ মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

শিক্ষার্থীদের আইনজীবী মো. নুর আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে এবং বয়স বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আরেকজনের আইনজীবী মো. জুলফিকার আলী বলেন, তার মক্কেল নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। লেখাপড়া ও বয়স বিবেচনায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

আরও পড়ুন