বাল্যবিবাহের চেষ্টার দায়ে বর ও কাজিকে কারাদণ্ড, কনের মাকে জরিমানা

বাল্যবিবাহপ্রতীকী ছবি

‘কনের’ বয়স মাত্র ১৩ বছর। গোপনে তার বিয়ে দিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য তৈরি করা হয় ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদও। শেষ পর্যন্ত বিয়েটি আর হয়নি। বাল্যবিবাহের দায়ে হাতেনাতে ধরে কাজি, বর ও কনের মাকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল।

বিয়ের চেষ্টার সময় শ্রীপুরের কর্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজি আবুল কালাম আজাদীকে ৬ মাস এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বাসিন্দা বর ফাহরুম হোসেনকে ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ওই কনের মাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান আশিক বলেন, স্থানীয় একটি কম্পিউটারের দোকানে ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুর বয়স বাড়িয়ে জন্মনিববন্ধনে ১৮ বছর বানানো হয়। সবকিছু জানা সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিয়ে পড়াতে যান কাজি। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, স্কুলপড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী শিশুকে বেআইনিভাবে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।