সিলেটে ব্যস্ত রাস্তায় ছুরিকাঘাতে নেতা খুনের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
সিলেটে ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাৎক্ষণিক এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় আজ রোববার রাত সোয়া আটটার দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল। তিনি জেলা বিএনপির সর্বশেষ কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি নগরের কাজলশাহ হয়ে রিকাবিবাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী, সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত দুই সপ্তাহ আগে বড়বাজারের পার্শ্ববর্তী চৌকিদেখী এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মীর সঙ্গে বিএনপি নেতা কামালসহ কয়েকজনের কথা–কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাই তাঁকে খুন করে থাকতে পারেন। দ্রুত ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিএনপি নেতারা।
বিএনপি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল বড়বাজার এলাকায় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছয়-সাতটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁর গাড়ির পথ রোধ করে। পরে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় কামালকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মইনুল জাকির প্রথম আলোকে বলেন, কী কারণে কামাল খুন হয়েছেন, এটি এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।