শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায়। আজ রোববার দুপুরে তিনি ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায় পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল আলম বলেন, তাঁর (দিলীপ কুমার) পদত্যাগপত্রটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রোববার বেলা একটার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীর নাম করে ছাত্ররা আমার কাছে আসেন। এ সময় আমি ইউএনও সাহেবের দপ্তরে ছিলাম। তাঁরা পদত্যাগপত্র লিখে এনে আমাকে ওই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ইউএনও সাহেব তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁরা কোনো কথা শুনতে চান না। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাঁদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করি। তাঁরা আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোববার দুপুরে ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার ইউএনওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন
ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমারের ইউএনও মো. নাজমুল আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায় পদত্যাগে রাজি হয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা দেন। আমি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। তাঁর দেওয়া পদত্যাগপত্রটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ কুমারকে পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা সমন্বয়ক পরিচয়ে মিলন ইসলাম হৃদয় বলেন, দিলীপ কুমার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সব সময় তিনি আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না। জনগণ ভোট দেয়নি। ওটা ছিল ডামি নির্বাচন। এসব কারণে ওনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, উনি সসম্মান পদত্যাগ করেছেন।