ছাত্র–জনতার মিছিলে গুলি: রংপুরে বিএনপি নেতা ও শিক্ষার্থীদের নামে পাল্টাপাল্টি মামলা
রংপুরের পীরগাছায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি করার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামকে (রাঙ্গা) আসামি করে থানায় মামলা করেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত একরামুল হক নামের এক ব্যক্তি।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে ২২ জন শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম। এর প্রতিবাদে গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পীরগাছা থানার সামনের সড়কে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এই দুই মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার।
একরামুল হকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট পীরগাছায় শান্তিপূর্ণ বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি পীরগাছা সরকারি কলেজের কাছে থেকে পীরগাছা জে এন মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম তাঁর চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ব্যক্তিগত অফিস রক্ষার্থে মিছিলের ওপর গুলি করেন। এ সময় গুলিতে আহত হন বাদী (একরামুল)। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী একরামুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে।
আমিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে পীরগাছা বাজার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে ছাত্র-জনতা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। রব্বানি ওরফে বাবু, শামীম মিয়া, অন্তর মিয়া, শাকিল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শাহিন মিয়াসহ ২২ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।