কেন্দ্রীয় যুবদল নেতাকে আটক ও মারধরের পর পুলিশে দিল যুবলীগ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে যুবদল নেতা চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবুনুরকে (৫১) আটক করে মারধর করার পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। মাহেবুল্লাহ কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি। তিনি একই সঙ্গে তিনি জেলা যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ছোট খোঁচাবাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
যুবদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কয়েকজন নেতা–কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল করে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মাহেবুল্লাহ সাংগঠনিক কাজে খোঁচাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেন।
সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী বলেন, এলাকার কয়েকজন যুবলীগ নেতা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় তাঁরা কয়েকজন যুবককে সড়কে চলাচলকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখেন। তাঁরা বিষয়টি তাঁকে জানান। তিনি দলবল নিয়ে সেখানে গেলে ওই যুবকেরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। তবে একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তাঁর কাছ থেকে পেট্রল ও ব্যাগভর্তি ইট পাওয়া যায়। খবর দিলে পুলিশে এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। সে সময় জানতে পারেন, আটক ওই ব্যক্তি জেলা যুবদলের সভাপতি।
তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, যুবলীগ নেতা-কর্মীরা যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার যে অভিযোগটি করছেন, তা সঠিক নয়। মাহেবুল্লাহ সাংগঠনিক কাজে খোঁচাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় যুবলীগ কর্মীরা তাঁর পথ আটকে মারধর করে পুলিশে দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় ওই যুবদল নেতাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাঁকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় পুলিশের কাজে বাধা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।