কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় ২ যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মহসিন আহমেদ ওরফে শিপন (৩৫) ও নূর হোসেন ওরফে স্বপন (৪০)। মহসিনের বাড়ি কুমিল্লার রাজগঞ্জ এলাকায় ও নূর হোসেনের বাড়ি নগরের মোগলটুলি এলাকায়। তাঁরা দুজনই যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, গতকাল রাতে মহসিন ও নূরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়।
১৩ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা শহরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের ‘সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ’, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের ‘দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য’, কুড়িগ্রামের চারণকবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় পূজার প্রাক্কালে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে এই বিক্ষোভ-মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি নগরের রানীরবাজার রামঠাকুর আশ্রম থেকে কান্দিরপাড় পুবালি চত্বরের উদ্দেশে রওনা হয়। কর ভবন এলাকায় আসামাত্র পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
তখন মিছিলে থাকা নারী-পুরুষের একটি দল কর ভবনের দক্ষিণ পাশের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। আরেকটি অংশ রানীরবাজারে ফিরে যাচ্ছিল। হঠাৎ কর ভবন এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একটি মিছিল এসে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লোকজনকে ধাওয়া করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ আহত হন।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার বকশি। এরপর আজ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।