১৬ বছর পর রাজশাহীর সোনাদিঘির মোড়ে হচ্ছে বিএনপির সমাবেশ
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। নগরের সোনাদিঘির মোড়ে মঞ্চের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে মাটিতে বসার জন্য ত্রিপল বিছানো হয়। ১৬ বছর পর আজ শনিবার ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘির মোড়ে বিএনপির সমাবেশ হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের ‘উসকানিমূলক পাল্টা’ কর্মসূচির প্রতিবাদে, বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করছে বিএনপি।
রাজশাহীর বিএনপি নেতারা বলছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপিকে নগরের মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয় ও পাশের ভুবনমোহন পার্কেই তাদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে। শুধু বড় সমাবেশ মাদ্রাসা মাঠে করেছে। কিন্তু গত ১৬ বছরে তারা সোনাদিঘির মোড়ে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশের অনুমতি পায়নি। এবার সেই অনুমতি পাওয়ায় নেতা-কর্মীরা অনেক উচ্ছ্বসিত। তাঁরা মনে করছেন, এ জনসভার মাধ্যমে বিএনপি রাস্তায় বের হওয়ার সুযোগ পেল।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ইতিমধ্যেই তিনি রাজশাহীতে এসে পৌঁছেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য নেতা সেখানে বক্তব্য দেবেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাদিঘির মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সোনাদিঘি মসজিদের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে সভামঞ্চ বানানোর কাজ প্রায় শেষ। মঞ্চের ভেতরের সাজসজ্জার কাজ করা হচ্ছে। মাইকগুলো বাঁধা হচ্ছে। সোনাদিঘির উত্তর পাশের রাস্তায় একটি বাঁশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাঁশের পাশে একজন পুলিশ সদস্য চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। তিনি এদিক দিয়ে কোনো গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছেন না। আবার মঞ্চের পূর্ব পাশের রাস্তাটি বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দলের কয়েক কর্মী বেঞ্চে বসে আছেন। মঞ্চের সামনে বেঞ্চে একদল নেতা-কর্মীকে বসে থাকতে দেখা গেল। আর সামনের রাস্তায় বসার জন্য ত্রিপল বিছানোর কাজ চলছে। বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।
এ দিকে বিএনপির এ সমাবেশ ঘিরে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কোনো পাল্টা কর্মসূচি নেই। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে এ রকম কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। তবে বিএনপি যদি নাশকতার চেষ্টা করে, তাহলে আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করবে।