গাজীপুরে এক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ, পাশেরটিতে ছুটি ঘোষণা

গাজীপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেন টি এন জেট অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা চালায় পুলিশ। আজ বেলা ১১টার দিকেছবি: প্রথম আলো

আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর নগরের মোগরখাল এলাকায় বিক্ষোভ করেন একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল থেকে টি এন জেট অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের কারখানাটির সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় হামলা–ভাঙচুরের আশঙ্কায় পাশের ‘ইকো কুটিউর লিমিটেড’ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, টি এন জেট অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। বারবার বেতনের দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ পরিশোধ করছিলেন না। এর মধ্যে আজ সকালে সেখানে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধ পান শ্রমিকেরা। পরে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। আরও শ্রমিক জড়ো করতে একপর্যায়ে পাশের ইকো কুটিউর লিমিটেড কারখানায় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন

টি এন জেট কারখানার শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী গত ৭ আগস্ট বেতন পরিশোধের তারিখ ছিল। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর আজ বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু আজ সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানাটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।

মো. ইকরামুল হাসান নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘প্রতি মাসেই স্যাররা নির্ধারিত সময় আমাদের বেতন দিতে পারেন না। প্রতিমাসেই কোনো না কোনো অজুহাতে বেতন দিতে দেরি করে। আইজক্যা মাসের ১৪ তারিখ। এহনো বেতন পাই নাই। ঘরভাড়া-সংসার খরচ সব আটক্যায়ে গেছে। তাই বাধ্য হইয়্যা আন্দোলনে নামছি।’

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে জানতে কারখানাটির পরিচালক মো. মহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার বলেন, ‘কারখানাটির শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার রাতেও আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। যেভাবেই হোক বেতন পরিশোধের অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা তা করেনি। এর মধ্যেই গতকাল কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করার কারণে আজ সকালে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকেরা একপর্যায়ে আরও শ্রমিক জড়ো করতে পাশের ইকো কুটিউর কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে দ্রুত কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন