ভোট দিয়ে হিরো আলম বললেন, ‘গোলযোগের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে’

বগুড়া-৬ সদর আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ সকালে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সংবাদিকদের বলেন, ‘বগুড়া-৬ আসনে আগে থেকেই গোলযোগের আশঙ্কা করেছিলাম, সেটাই সত্যি হয়েছে। আমার নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। এভাবে সুষ্ঠু ভোট হলে এই আসনে আমিই বিজয়ী হব।’

হিরো আলম আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-৬ আসনের সদর উপজেলার এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। তাঁর বাড়ি এরুলিয়া পলিপাড়া গ্রামে। ভোট দেওয়ার পর হিরো আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

কোন কোন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অন্য কেন্দ্রের নাম পরে জানাব।’ কারা এজেন্টদের বের করে দিয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নাম-পরিচয় জানানো হবে।

আরও পড়ুন
নিজের ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ সকালে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

ভোটকেন্দ্রের কক্ষ থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন আরও দুই প্রার্থী। বগুড়া-৬ আসনে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমান অভিযোগ করেন, শহরের মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্যদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে আপেল প্রতীকের এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেউ কোনো ভোটকক্ষ থেকে কাউকে বের করে দেননি।

এদিকে নানা শঙ্কার মধ্যেই বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও ৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ সকাল সাড়ে আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইভিএমে টানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

বগুড়া-৬ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্রে ডাকাত পড়েছে। অনেক কেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রাজাপুর ইউনিয়ন, নুনগোলা ইউনিয়ন, শাখারিয়া ইউনিয়ন, মানিকচক উচ্চবিদ্যালয়, ভান্ডার পাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতশিমুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, শহরের সিটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বহু কেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন