ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্র ফেডারেশন নেতার জানাজা বরিশালে সম্পন্ন, শ্রদ্ধা নিবেদন

ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্র ফেডারেশনের নেতা জুলফিকার শাকিলের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনেছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে নিহত ছাত্র ফেডারেশনের নেতা জুলফিকার আহমেদ শাকিলের জানাজা বরিশালে সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বরিশালে আনা হয়। পরে নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগরের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

জুলফিকার শাকিল ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র ফেডারেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি পালনকালে মিরপুর–১০-এ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জুলফিকার। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শাকিল ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলার ভেদুরিয়ায়।

জুলফিকার আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

আজ সন্ধ্যায় জুলফিকারের মরদেহ বরিশালে পৌঁছানোর পর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে রাখা হয়। সেখানে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটি, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় কমিটি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার নেতারাসহ নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেওয়া সবাই দ্রোহের প্রতীক হিসেবে লাল ব্যাজ ধারণ করেন। জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি ভোলার ভেদুরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর দাফন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার অন্যতম সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শহীদ জুলফিকার শাকিল যে চেতনা ধারণ করে রাজপথে জীবন দিয়েছেন, সেই চেতনার রাষ্ট্র কায়েম করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কয়েক শ লাশের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আর কাউকে স্বৈরচারী শাসন, দখল ও লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হবে না। আমরা বৈষম্যহীন, সাম্যের ও মানবিক-গণতান্ত্রিক একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে শপথ নিয়েছি, তা থেকে কখনোই বিচ্যুত হব না।’

আরও পড়ুন