বিএনপি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শুক্রবার বিকেলে শহরের পার্বতীপুর সড়কের একটি রিসোর্টেছবি: প্রথম আলো

ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে—বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। শহরের পার্বতীপুর সড়কের ড্রিম প্লাস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের হলরুমে বেলা তিনটায় এ সভার আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। ভবিষ্যতে ভুটান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুৎ আসবে। ঢাকা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভুটান ও নেপালও ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর বিএনপি নানা প্রশ্ন রেখেছিল। কারণ, তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। এর আগেও বিএনপি বলেছিল, সাবমেরিন যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। পরে আমাদের অর্থের বিনিময়ে সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি এখন আর সরকার পতনের কথা বলে না। তারা এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে। খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বিএনপির নেতারা খুশি হন। তাঁরা এখন তারেক–ভীতির শঙ্কায় ভুগছেন। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে বসেছিল; কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আজকে দলের রংপুর বিভাগীয় এই বর্ধিত সভা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি একটি ব্রত। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমাদের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে জনগণের কাছে ছুটে গেছেন।’ দলের সবাইকে নিজেদের বিভেদ, দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের জেলা, মহানগর ও উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা অংশ নেন।