দিনাজপুরের বেলাইচণ্ডীর ‘বালুশাহী’ এক মজার মিষ্টি
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাজার বেলাইচণ্ডী। দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর মহাসড়কের ওপর এর অবস্থান। ওই গ্রামীণ বাজারে তৈরি হয় মজার মিষ্টি বালুশাহী, যা স্থানীয়ভাবে ‘বালুশাই’ মিষ্টি নামে পরিচিত। এই মিষ্টি খাওয়ার জন্য ওই বাজারের ঈমান আলীর হোটেলে রাত ১২টা পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা থাকে।
বেলাইচণ্ডী বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ঈমান আলীর হোটেল। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলে অনেক ক্রেতা। চা পান করতে আসা অনেক ক্রেতাকে দেখা গেল ১-২ কেজি বালুশাহী কিনতে। প্রতি কেজির দাম ২০০ টাকা।
ক্রেতা বুলবুল রায় বললেন, ‘দারুণ মজার মিষ্টি বালুশাহী। আমি সৈয়দপুরে থাকি। এদিকে এলে পরিবারের জন্য এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যাই। পরিবারের সবাই এই মিষ্টি পছন্দ করেন।’
হোটেলে কথা হয় বালুশাহী তৈরির কারিগর পরেশ চন্দ্র রায়ের (৪৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদা সবাই মিষ্টির কারিগর ছিলেন। ঈমান আলীর হোটেলে আমি ১০ বছর ধরে বালুশাহী মিষ্টিসহ অন্যান্য মিষ্টি তৈরি করছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে যে বালুশাহী তৈরি হয়, এই দোকানের বালুশাহী তেমন নয়। অন্যান্য জায়গায় বালুশাহীর রং সাদা। মিষ্টির গায়ে চিনির শিরার আবরণ থাকে। এখানকার তৈরি মিষ্টির রং চকলেট রঙের। স্বাদেও বৈচিত্র্যময়।’ ময়দা, গুঁড়া দুধ, সয়াবিন তেল, চিনি, জয়ফল, ছোট এলাচি, গ্লুকোজ বিস্কুট, লবণ, ডিম দিয়ে এই মিষ্টি বানানো হয় বলে তিনি জানালেন।
হোটেলমালিক ঈমান আলী বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত হোটেলটি খোলা থাকে। পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুরে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলো এই হোটেলের সামনেই দাঁড়ায়। অনেক যাত্রী চা পান করতে আসেন। সঙ্গে বালুশাহী কিনে নিয়ে যান।
পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঈমান আলীর হোটেলের বালুশাহী আমিও খেয়েছি। অনেক মজার মিষ্টি। এ বালুশাহীর সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক, সেই আশা করি।’