গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকালছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর মহানগরের ভোগরা বাইপাস এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার ছাদ থেকে পড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে ৯টায় মহাসড়কে টায়ার ও কারখানার সামনে রাখা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। শিল্প পুলিশ এসে বেলা ১১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান এবং যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে আশপাশের ১২টি কারখানা আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, ভোগরা এলাকায় প্যানারামা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের কারখানায় গতকাল একজন নারী শ্রমিক ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। ওই ঘটনা জানাজানি হলে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা ভোগরা বাইপাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকেরা আরও উত্তেজিত হয়ে মহাসড়কে টায়ার ও কারখানার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে থেকে একটি গাড়ি টেনে সড়কের ওপর এনে আগুন ধরিয়ে দেন। বেলা ১১টার পরে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

কারখানার শ্রমিক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল কারখানার এক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চান। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দেয়নি। পরে জানতে পারি, সে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।’ আরেক শ্রমিক আসমা আক্তার বলেন, অসুস্থ নারী শ্রমিককে ছুটি দিলে হয়তো তাঁকে এভাবে মরতে হতো না।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল একজন নারী শ্রমিক কারখানার ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমাদের ওই ফুটেজ দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। ওই ঘটনায় শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে এবং কারখানার সামনে থাকা একটি গাড়ি সড়কে এনে পুড়িয়ে দিয়েছে।’